সততা, কর্মদক্ষতা ও সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড পদক (পিসিজিএম) পদকে ভূষিত হলেন জয়পুরহাটের ছেলে শাহাজুল ইসলাম।অদ্য ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ (সোমবার ) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর মহাপরিচালক মহোদয় তার কাঁধে এই পদক পরিয়ে দেন।মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব শেখ ছালেহ আহাম্মদ মহোদয় এর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠা বার্ষিক ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা যায়, সার্বিক কর্মতৎপরতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদস্যরা ৪ ধরণের রাষ্ট্রীয় পদক লাভ করে থাকেন, যথা- বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক (বিসিজিএম), বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক ( বিসিজিএমএস) – সেবা, রাষ্ট্রপতি কোস্ট গার্ড পদক (পিসিজিএম), রাষ্ট্রপতি কোস্ট গার্ড পদক (পিসিজিএম)- সেবা। এই বছর চার ক্যাটাগরি মিলিয়ে সারা বাংলাদেশ হতে মোট পদকপ্রাপ্ত ৪০ জন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,শাহাজুল ইসলাম ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারিতে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে নাবিক হিসেবে যোগদান করেন।পরবর্তীতে তিনি ডেপুটেশন এ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে যোগদান করেন। নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ,চাঁদপুর, শরিয়তপুর এবং পুরান ঢাকা ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় গোয়েন্দা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অপরাধ নির্মূলে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি গরিব- অসহায় মানুষের শেষ আশ্রয়স্থলে পরিণত হন। তার একের পর এক গৃহীত মানবিক ও উদ্ভাবনমূলক উদ্যোগ দেশব্যাপী প্রশংসা কুড়ায়। বিশেষ করে নদী পথে অবৈধ চোরাচালান, মাদক,অবৈধভাবে মৎস্য শিকার রোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। এজন্য তিনি কোস্ট গার্ড পরিচালক(গোয়েন্দা),কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার নারায়ণগঞ্জ(পাগলা) এবং নারায়ণগঞ্জ মৎস্য অধিদপ্তর, ঢাকা মৎস্য অধিদপ্তর,বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর হতে প্রশংসাপত্র লাভ করেন। এ ছাড়াও নদী পথে শৃঙ্খলা বজায় রেখে তিনি নিয়েছেন প্রশংসনীয় ভূমিকা।
এর পূর্বে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে খুলনা,চট্রগ্রাম এবং নৌ বাহিনীর বিভিন্ন জাহাজে তিনি দক্ষতা ও সুনামের সাথে চাকুরী করেন। তিনি জয়পুরহাট জেলার জীবনপুর গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম ও কোহিনুর বেগম দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান। তিনি তাসলিমা আক্তার মনিশার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং ০১ সন্তানের জনক।