শীতের এই মৌসুমে সারাদেশেই খেজুরের গুড়ের চাহিদা বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই মৌসুমের প্রথম থেকেই শুরু হয় খেজুরের রস থেকে গুঁড় উৎপাদন। গাছ থেকে রস সংগ্রহ ও গুঁড় উৎপাদনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন অনেকেই। যাদের এখন সময় কাটছে খুব ব্যস্ততায়।
শীত মৌসুমে গ্রামাঞ্চলের ঘরে ঘরে খেজুরের রস ও গুড় দিয়ে তৈরি হয় বিভিন্ন রকমের বাহারি পিঠাপুলি ও পায়েস। শীত যত বাড়ছে, খেজুরের গুড়ের চাহিদাও বাড়ছে। তাই জয়পুরহাটে এখন বানিজ্যিক ভাবে খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছীরা ।
জয়পুরহাট জেলার ৫টি উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার খেজুর গাছ ভাড়া নিয়ে রস সংগ্রহ করছেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার কয়েক’শ গাছী। গুনগত মান ও স্বাদের দিক থেকে বেশ ভাল হওয়ায় এখানকার উৎপাদিত গুঁড় স্থানীয় চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, দিনাজপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
গুঁড় তৈরীর কারিগররা বলছেন, সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আধুনিক প্রশিক্ষণ আর সহযোগিতা পেলে তারা উপকৃত হতেন।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, গুঁড় উৎপাদারকারী বা গাছীরা কোন ভাবেই যেন রাসায়নিক মেশাতে না পারে সে জন্য প্রশাসনের ভুমিকা নেওয়া প্রয়োজন।
এদিকে, মাগুরা জেলার বিভিন্ন গ্রামেও খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করছে গাছীরা। জেলায় ২৬ হাজার খেজুর গাছ রয়েছে। এসব গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে তা দিয়ে গুঁড় তৈরী করে জীবিকা নির্বাহ করে অর্ধশতাধিক পরিবার। জেলায় সব থেকে বেশী গুড় উৎপাদিত হয় শালিখা উপজেলায়। শীত মৌসুমে পিঠা পায়েস খাওয়ার জন্য এই খেজুর গুড় ও পাটালীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
গাছীদের এই পেশা টিকে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে বলে জানান, শালিখা উপজেলার চেয়ারম্যান কামাল হোসেন।
আধুনিক প্রশিক্ষণ আর পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা গেলে এসব খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ ও গুঁড় উৎপাদন আরো বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।