আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। এই সমাবেশের আগে জয়পুরহাট জেলার তিনটি থানায় বিএনপির স্থানীয় নেতাদের আসামি করে গতকাল (আজ) রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩টি মামলা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, তিন উপজেলাতেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা করায় গোপন বৈঠক করেছেন। তিন স্থান থেকেই ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। তাই এসব মামলা হয়েছে।
আর বিএনপি নেতাদের দাবি, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিবাদসহ জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য বিএনপি সারাদেশে সমাবেশ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীতেও আগামী ৩ ডিসেম্বর গণসমাবেশের আয়োজন করা হবে। ওই সমাবেশে স্থানীয় নেতারা যাতে কর্মীদের সংগঠিত করে নিয়ে যেতে না পারেন, সেই জন্যই মামলাগুলো করা হচ্ছে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা প্রধান বলেন, ‘নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগ তুলে- পুলিশ জেলার ৩ টি থানায় সম্প্রতি যে তিনটি গায়েবি মামলা করছেন। ওইসব মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতো আরো প্রায় ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মূল উদ্দেশ্য- দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিবাদসহ জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ে বিএনপি আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে যে সমাবেশ করতে যাচ্ছেন- তা বাধাগ্রস্ত ও পণ্ড করা। ‘
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি জয়পুরহাট জেলার সদর, পাঁচবিবি ও কালাই থানায় বিএনপির স্থানীয় ৫০ জন নেতার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও প্রায় ৪০০ জন নেতা-কর্মীকে মামলার আসামি করা হয়েছে। সব মামলারই বাদী পুলিশ।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং জয়পুরহাট দুই আসনের সাবেক এমপি প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ রাজশাহীর সমাবেশ বানচালের উদ্দেশ্যে পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের ভয় দেখানোর জন্য তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা করছে। কিন্তু এসব করে সমাবেশ বানচাল করা যাবে না। সব বাধা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেতাকর্মীরা সমাবেশে উপস্থিত হবে বলে আমরা বিশ্বাসী।’
জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতার চেষ্টা করেছে। পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে আলামতও সংগ্রহ করেছে। এটাই প্রকৃত ঘটনা। সে অনুযায়ীই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
মো. আতাউর রহমান