কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র মেডিকেল অফিসার ডা. ইমতিয়াজ জামান। করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালাইবাসির সেবা করেছেন।
সম্প্রতি অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরীক্ষায় (এমডি) অবতীর্ণ হয়েই দেশ সেরা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ( সাবেক পি হাসপাতাল) হেপাটোলজি/লিভার বিভাগে স্নাতোকত্তর ডিগ্রী গ্রহনের সুযোগ পেয়েছেন।
জয়পুরহাট সদরের আকতারুজ্জামান বাচ্চু এবং আলেয়া বেগমের সন্তান ইমতিয়াজ জয়পুরহাট রামদেও সরকারি বাজলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে ভর্তি হন ঢাকা কলেজে।উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলাফলের পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করে ৩৯ তম বিসিএস এর মাধ্যমে দীর্ঘ ১২ বছর পর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নিজ জন্মস্থান জয়পুরহাটে সরকার তাকে প্রথম পদায়ন করে।
ডাঃ ইমতিয়াজ জামান বিনয়ের সাথে জয়পুরহাট নিউজ ২৪ কে বলেন,করোনার এই দূর্যোগকালীন সময়ে কালাই বাসীকে সকল কিছুর উর্ধ্বে সর্বোচ্চ সেবাদানের চেষ্টা করেছি।জয়পুরহাটে এসে এ দুইবছরে আমার যে জিনিসটা নজরে আসে – এই শহরে এন্ডোস্কপি,কলোনোস্কপি এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলো হয়না।এগুলোর কারণে আমাদের রোগীদের জেলার বাইরে যেতে হচ্ছে এবং বিরম্বনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।মূলত এই ভাবনা থেকে প্রথমে ইন্টার্নাল মেডিসিনে এফসিপিএস ১ম পর্ব সম্পন্ন করার পরও আমি সিদ্ধান্ত নিলাম জয়পুরহাটে নেই এবং অতীব প্রয়োজনীয় স্পেশালিটি তে আমাকে পড়তে হবে।তখন আমি হেপাটোলজি/লিভার স্পেশালিস্ট এই সাবজেক্টকে পছন্দ করলাম এবং অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরীক্ষায় (এমডি) অবতীর্ণ হয়েই দেশ সেরা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় – বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ( সাবেক পি হাসপাতাল) হেপাটোলজি/লিভার বিভাগে স্নাতোকত্তর ডিগ্রী গ্রহনের সুযোগ পেলাম।দেশবরন্য এবং দক্ষিন এসিয়ার বিখ্যাত লিভার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. মামুন আল মাহতাব সপ্নীল স্যারের তত্বাবধানে আমি পরবর্তী ৫ বছর প্রশিক্ষণ গ্রহন করবো।জয়পুরহাটবাসীকে কথা দিয়ে যাচ্ছি দীর্ঘ ১২ বছর পর মাত্র ২ বছরের জন্য আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছিলাম।আবারও উচ্চ শিক্ষার স্বার্থে ৫ বছরের জন্য আপনাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছি।সৃষ্টিকর্তা সহায় হলে যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে আজ থেকে ৫ বছর পর আমি জয়পুরহাটে প্রতিদিন এন্ডোস্কপি,কলোনোস্কপি সহ লিভার জনিত যেকোন রোগের সকল চিকিৎসার ব্যবস্থা এই জয়পুরহাটে আমি করবো।
আমার সহধর্মিণীও একজন ডাক্তার।উনিও একজন বিসিএস অফিসার এবং চক্ষু সার্জারী এর উপর এমএস কোর্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) অধ্যয়নরত আছেন। আমাদের দুই ছেলে রয়েছে।সবাই আমার এবং আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।আল্লাহ চাইলে খুব তারাতারি আপনাদের কাছে এসে আবারও আপনাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
অসম সাহসিকতার সাথে করোনাকালে জয়পুরহাটবাসীর ক্রান্তিকালে এগিয়ে আসবার জন্য জয়পুরহাটের সন্তান এই চৌকস কর্মকর্তাকে স্যালুট জানাই।আল্লাহ তাআলা ওনাকে ও ওনার পরিবারকে সুস্থ রাখুন ও মানুষের সেবায় আরো বেশি কাজ করার তৌফিক দিন।