মিজানুর রহমান
করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ অতিক্রান্ত করছে বাংলাদেশ। প্রতিদিন মৃত্যু ও আক্রান্তের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষ কাজ হারিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। সেই মুহূর্তে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ, জয়পুরহাট জেলা শাখার উদ্যোগে অসহায় হতদরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন দলের নেতাকর্মীরা।
আজ (২০ এপ্রিল) মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় জয়পুরহাট সদর উপজেলার নতুনহাট এলাকায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে জেলা বাসদের উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন দলের নেতৃত্ববৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন, জেলা বাসদ আহ্বায়ক কমরেড ওয়াজেদ পারভেজ, বাসদ সদস্য সচিব সামিউল ইসলাম বাবু, জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম প্রমূখ।
বাসদ নেতা ওয়াজেদ পারভেজ বলেন, সরকার কোন ধরণের পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই, কোন আয়োজন ছাড়াই মুখে ঘোষণা দিয়েছে ‘কঠোর’ লকডাউনের। কিন্তু লকডাউনে দিন এনে দিন খাওয়া, অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত মানুষ, একদিন জীবিকার চাকা না ঘুরলে যার ঘরে রান্না হয় না, তাদের খাদ্যের কি ব্যবস্থা হবে, ছিন্নমূল মানুষের কি ব্যবস্থা হবে, সে বিষয়ে কোন রকম দায় দায়িত্বই সরকার নিল না। অথচ জনগণের রক্ত জল করা অর্থ দিয়ে তার দিকেই তাক করে প্রত্যেক থানায় থানায় বসানো হচ্ছে মেশিনগান। রাষ্ট্রের সকলের ও কর্মের নিশ্চয়তা দেওয়া রাষ্ট্রের পক্ষে অসম্ভব কিছু না।
আমরা সকলের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনাদের সহযোগিতা এবং সংহতি মানুষের সংকটাপন্ন সময়ে তাদেরকে আশা যোগাবে। চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার বা নগদ অর্থ দিয়ে আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন আমরা ছিন্নমূল মানুষের ঘরে পৌঁছে দিতে প্রস্তুত। লকডাউনে প্রতিছি ছিন্নমূল মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করছি।
নতুনহাট এলাকার বাসিন্দা মুন্নি আক্তার বলেন, এই লকডাউন মানে হামাঘরের মত মানষের মরণ ফাঁদ। এক ছাত্রামেসে কাজ করতাম সেটাও হারিয়েছি। এখন কি খেয়ে বাঁচমো। সরকারি কোনো ত্রাণও পাও নি।
সংকটময় মুহূর্তে বাসদের দেওয়া চাল, ডাল, আলু, লবণ পেয়ে অনেকেই খুশি বলে প্রকাশ করেন।