করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশের ন্যায় হিলিতে আজ থেকে সাত দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানপাঠ ব্যাতীত অন্যান্য সকল দোকানপাঠ বন্ধ রয়েছে। তবে অনেক দোকানী প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে দোকান খুলে পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে। এদিকে লকডাউনের কারণে আয় কমে বিপাকে পড়েছেন ভ্যান রিক্সা চালকরা।
সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হিলি বাজারের অধিকাংশ দোকানপাঠ বন্ধ রয়েছে। এদিকে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে বের হওয়া নিষেধ থাকলেও অনেককেই বিনা কারণে বাজারে ভিড় করতে দেখা গেছে। এছাড়া কাঁচাবাজার ও মাছ বাজারগুলোতে মানুষের বাড়তি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে, সে ক্ষেত্রে অনেককে স্বাস্থ্যবিধি না মানতে ও মাস্ক ব্যবহার না করতেও দেখা গেছে। এদিকে হিলি থেকে আঞ্চলিক দুরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ভ্যান রিক্সা ইজিবাইক চলাচল করছে যাতে মানুষজন গাদাগাদি করে চলাফেরা করছে।
হিলি বাজারে ভ্যান চালক খালেদ হোসেন ও শফিউল ইসলাম বলেন, লকডাউনের পূর্বে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫’শ টাকা আয় হতো তা দিয়ে চাল ডাল কিনে কোন রকমে সংসার চলতো। আজ থেকে লকডাউনের ফলে বাজারে মানুষজন নেই। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত তেমন ইনকাম করতে পারেনি কিভাবে চলবো সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন,আজ থেকে সাতদিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। ওষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ব্যতিত সব দোকান পাঠ বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। লকডাউন যেন ঠিকভাবে পালন করা হয় সে বিষয়ে আমরা নিয়মিত বাজার তদারকি ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছি। কাউকে দোকান খোলা অবস্থায় পেলে ও বিনা কারণে বাড়ির বাহিরে বের হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।