ডেস্ক রিপোর্ট
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার স্থানীয় বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল তরমুজ।
দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন আকারের এসব তরমুজ। মৌসুমি নতুন এই ফলের স্বাদ গ্রহণে দাম বেশি হলেও বিত্তবানরা কিনছেন স্বচ্ছন্দে। তবে দাম বেশি হওয়ায় ইচ্ছে থাকলেও কিনতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষজন। কালাই বাসস্ট্যান্ডে ফলহাটি, পুনটের ফলহাটি, মাত্রাই বাজারে ও মোলামগাড়ীহাট সহ বিভিন্ন স্থানে এই মৌসুমি ফল তরমুজের দোকান সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। আবার ফলের দোকানগুলোতে বিভিন্ন ফলের পাশাপাশি মৌসুমি ফল তরমুজ বিক্রি করেছেন তারা। প্রথমদিকে প্রতি কেজি তরমুজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তরমুজ কিনতে আসা ব্যবসায়ী শেখ বোরহান রব্বানী বলেন, কয়েক দিন ধরে বাজারে মৌসুমি নতুন ফল হিসেবে তরমুজ উঠেছে। এজন্য পরিবারের সদস্যদের মৌসুমি এই নতুন ফলের স্বাদ গ্রহণে তরমুজ কিনছি। দাম যাই হোক মৌসুমি নতুন ফলের স্বাদ নেওয়াটাই বড় বিষয়।
পুনট বাজারের সবজি বিক্রেতা জহুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে নতুন ফল তরমুজ উঠেছে কিন্তু আমাদের আয় বুঝে ব্যয় করতে হয়। সারা দিন সবজি বিক্রি করে ৩-৪শ টাকায় আয় হয় তা দিয়ে কোনোরকম সংসার চালাতে হয়। কিন্তু এখন একটি তরমুজ কিনতে ন্যূনতম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা লাগবে। সাধ জাগে কিন্তু সাধ্য নাই।
ভ্যান চালক রবিউল ইসলাম বলেন, বাজারে তরমুজ দেখে ছেলে মেয়েরা বায়না ধরেছে তরমুজ খেতে। কিন্তু চোখের সামনে নতুন ফল দেখেও দাম বেশি বলে কিনতে পারছি না। তরমুজ ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া বলেন, বর্তমানে জয়পুরহাট ও মহাস্থানের মোকাম থেকে তরমুজ কিনে বাজারে বিক্রি করছি। মোকামে তরমুজের ব্যাপক আমদানি থাকলেও চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেশি। এজন্য বাধ্য হয়ে আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ও বাজারে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফল বিক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে তরমুজ উঠতে শুরু করলে বাজারে সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে। বর্তমানে আবহাওয়া বেশ গরমের কারণে তরমুজ বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে।