রেজাউল করিম রেজা
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মেলেনি জয়পুরহাটের বেশ ক’জন বীরযোদ্ধার। জেলার সরকারি-বেসরকারি বা রাষ্ট্রীয় কোনো স্মারক-কর্মসূচিতেও নেই তাঁদের নামপরিচয়। স্বাধীনতার এই সুদীর্ঘ সময়েও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ এবস বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয়রা। তবে, সুনির্দিষ্ট কোনো তালিকায় নাম না থাকায় তাদের জন্য কিছুই করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন।
১৯৭১ সালের ২৬ জুলাই মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বুদ্ধিজীবী শহীদ ডা. আবুল কাশেমকে, হাত-পা বেঁধে জয়পুরহাট শহরের দেবীপুর এলাকার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় রাজাকাররা। কুঠিবাড়ি এলাকায় নিয়ে তার চোখ-নখ তুলে নির্মম নির্যাতনের পর, গুলি করে হত্যা করে স্বাধীনতার দুশমনরা। একইভাবে, সদর উপজেলার দোগাছীর ইয়াকুব আলী মন্ডলকেও জীপের পেছনে বেঁধে ১৭ কিলোমিটার ঘুরিয়ে, ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় নিয়ে হত্যা করে পাকসেনারা।
খনজনপুর মিশনের সাইকেল মেকার অমর সরকার, নিজে লোহার কামান তৈরি করে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই কামানটি জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকলেও, তাঁর নিজের কোনো স্বীকৃতি আজও মেলেনি। এসব শহীদের কবরগুলোও অযত্ন-অবহেলায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির আবেদন করেও, তা না পাওয়ার অভিযোগ, অনেক শহীদ পরিবারের।
এদিকে, উপজেলা ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররাও চান, তাঁদের স্বীকৃতি। রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্দেশনা পেলে, তা বাস্তবায়ন করার কথা জানালেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব বীর শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে, যথাযথ পদক্ষেপ কামনা করেছেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারসহ স্থানীয়রা।