আবু বকর সিদ্দিক
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার জয়পুরহাট পৌরসভার নির্বাচন। এবারই প্রথম এ পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভোট। সে কারনে পৌর এলাকায় এখন বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌর এলাকার রাস্তঘাটসহ অলিগলি। চলছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে গণসংযোগ। ভোটকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
এ পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৬ জন ও সাধারন কাউন্সিলর পদে ৭০ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তবে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে। আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের কারণে শতভাগ বিজয়ী হওয়ার আশা প্রকাশ করছেন। অপরদিকে, বিএনপি প্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুল হক সুষ্ঠু ভোট হলে জনগণ তাকে বিজয়ী করবেন বলে আশা করছেন।
মেয়র পদে অন্য প্রার্থীরা হলেন, ইসলামী ঐক্যজোট থেকে পাখা মার্কায় মাওলানা জহুরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ মার্কায় হাসিবুল আলম লিটন (জামায়াত) ও নারিকেল গাছ মার্কায় লড়ছেন বেদারুল ইসলাম বে-দ্বীন।
নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবে বলে আশা রাখছি।
অপরদিকে, ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুল হক বলেন, সাধারণ ভোটাররা ঠিকভাবে ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হলে ধানের শীষ মার্কা বিপুল ভোটে জয়ী হবে।
এ ব্যাপারে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, পৌর নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এবার প্রথম ইভিএমে ভোট হওয়ায় প্রশাসন এ ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরীতে কাজ করে চলছে। নির্বাচনী মাঠে ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি রাখা হয়েছে সার্বক্ষণিক নজরদারীতে। ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ণ করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
পৌরসভায় মোট ভোটার রয়েছেন ৫২ হাজার ৪৭৩ জন। এরমধ্যে ২৬ হাজার ৮৫৬ জন নারী ও ২৫ হাজার ৬১৭ জন পুরুষ ভোটার। মোট ভোট কেন্দ্র ২২ টি।