রেজাউল করিম রেজা,জয়পুরহাট
জয়পুরহাটে রাস্তা সংকারে পিচ গলানোর জ্বালানি হিসেবে তুষ ও কাঠের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে পুরাতন জুতা, পলিথিন ও প্লাস্টিকসহ নানা রকমের ভাঙারি দ্রব্য। প্রভাবশালী ঠিকাদাররা পরিবেশ-গাছপালা ও স্বাস্থ্যঝুঁকির তোয়াক্কা না করে এসব পোড়াচ্ছে। নষ্ট বিষাক্ত বর্জ্য পোড়ানোর ফলে কালো ধোঁয়া ও বর্জ্য পোড়ার গন্ধে এলাকার পরিবেশ ও জনজীবন বিষিয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন আশপাশের ফসল ও গাছপালার ক্ষতিসহ নানা সমস্যার।
সরেজমিন দেখা যায়, জয়পুরহাট শহরের তেঘর স্কুলসংলগ্ন এলাকায় রাস্তা সংস্কারে পিচ গলানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বাতিল জুতা, ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের বিভিন্ন জিনিস, পলিথিনসহ নানারকমের ভাঙারি দ্রব্য। এ কাজে ব্যবহার করার কথা কাঠ কিংবা তুষ। কিন্তু প্রভাবশালী ঠিকাদাররা অনিয়মের মাধ্যমে এলাকার বাতাস বিষাক্ত করেই যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে এলাকার গাছপালা, জমির ফসল ও প্রাণীদেহে। একই চিত্র দেখা গেছে কালাই উপজেলার মাত্রাই ছত্রগ্রাম এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত এ অবস্থার অবসানের।
এলাকাবাসী রেখা বেগম, লাভলী আরা, কামরুজ্জামান বুলেটসহ অনেকেই বলেন, ‘সরকার বলছে করোনা আসছে সাবধানে থাকো। এখন রাস্তার ঠিকাদার জুতা, স্যান্ডেল, টায়ার পোড়াচ্ছে। ধোঁয়ার দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। এত গন্ধ যে আমরা বাড়িতে থাকতে পারছি না। ধোঁয়ায় পাশের জমির আবাদ, গাছ সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
তেঘর স্কুলসংলগ্ন এলাকায় রাস্তা সংস্কারে কাজ করা ঠিকাদার লুৎফর রহমান বলেন, ‘এখন জুতা দিয়েই পুড়তে হবে, তাছাড়া বিকল্প কিছু নেই। পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি হলে করার কী আছে?’
সদর উপজেলা প্রকৌশলী আবদুর রউফ বলেন, ‘পরিবেশ দূষণ করে কেউ কাজ করতে পারবে না। ঠিকাদার যা করছে তা গায়ের জোরে করছে। পরিবেশ আইন প্রত্যেককে মানতে হবে’ এ কথা বলে তিনি সহকর্মীকে ঠিকাদারের কাজ বন্ধ করে দিতে বলেন।