আতাউর রহমান এবং সেলিম সরোয়ার
জয়পুরহাটের কালাইয়ে ডিলারদের উৎসাহে ‘ফাতেমা’ জাতের ধান বীজ চাষ করে ফসল হানীর কারণে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
রোববার উপজেলার বৈরাগীহাটে সংশ্লিষ্ট ডিলারদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে ভুক্তভোগী কৃষকরা সমবেত হয়ে ধানের ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ করে। এ সময় ‘মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্সে’র পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেয়ায় কৃষকরা শান্ত হয় বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, আমন মৌসুমের শুরুতে ডিলারদের পরামর্শ ও উৎসাহে বিঘা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ মণ ধান উৎপাদনের আশায় তারা ‘ফাতেমা’ জাতের ধান বীজ কিনে এখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ধান পাতা পোড়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ধানের যে অবস্থা তাতে, বিঘা প্রতি ৫ থেকে ৬ মণের বেশি ধান হবেনা। এ অবস্থায় অনেক বর্গাচাষীর পথে বসার অবস্থা। উদ্ভ‚ত পরিস্থিতিতে তারা ফসলের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। তাদের দাবি না মানা হলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এক জোট হয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানানো হয়। ‘মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্সে’র সত্ত¡াধীকারী মুরশীদ আলম জানান, ধান বীজ বিক্রির ভরা মৌসুমে এলাকার অন্যান্য ডিলাররা যখন ব্যাপকহারে ‘ফাতেমা’ ধান বীজ বিক্রি করছিল। তখন কৃষকদের অনুরোধে তারাও কিছু ফাতেমা বীজ বিক্রি করেছে। তাদের কাছ থেকে বীজ কিনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিছুটা হলেও তারা ওই কৃষকদের ক্ষতি পুশিয়ে দিবে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, ফাতেমা জাতের ধান বীজ কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা কয়েকজন কৃষক তাকে জানিয়েছেন। যদিও কৃষি বিভাগ ‘ফাতেমা’ জাতের ধান বীজ চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করেছেন। তা সত্বেও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ব্যাপারে প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নীলিমা জাহান জানান, রোগ-বালাই বেশি বলে মৌসুমের শুরু থেকেই কৃষকদের তারা ‘ফাতেমা’ জাতের ধান চাষে নিরুৎসাহিত করেছেন। তবে কৃষকরা কোন ডিলারদের কাছ থেকে ধান বীজ কিনে প্রতারিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে, ক্ষতিয়ে দেখে প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।